গলার রগ কেটে যাওয়ায় রিফাতের মৃত্যু

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই বরগুনার রিফাত শরীফের (২৫) মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার মরদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জামিল হোসেন। ময়নাতদন্ত শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ডা. জামিল হোসেন বলেন, ‘নিহত রিফাত শরীফের গলায়, মাথায়, বুকে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে; যা ধারালো অস্ত্রের আঘাত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আঘাতগুলোর মধ্যে গলায়, মাথায় ও বুকে তিনটি গুরতর জখম রয়েছে। বিশেষ করে গলার আঘাতের কারণে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ রগ কর্তন ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে এতটাই রক্তক্ষরণ হয়েছে, যা সময়ের ব্যবধানে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বিস্তারিত বিষয়গুলো ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেই নিশ্চিত করে উল্লেখ করা হবে।’

এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বোর্ড গঠন করে।

বোর্ডে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জামিল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. মাইদুল হোসেন ও ডা. সোহেলী আক্তার তন্নী।

বেলা ১১টা ১০মিনিট থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত চলে ময়নাতদন্তের কার্যক্রম। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রিফাতের মরদেহ নিয়ে দুপুর ১টার দিয়ে স্বজনরা সড়কপথে বরগুনার উদ্দেশে রওনা দেন।

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনেই রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করেন স্থানীয় নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা।

গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে বরগুনা সদর হাসপাতাল ও শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে রিফাতের বাবা বুধবার রাতেই বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ চন্দন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন